কামাল মজুমদার-তুহিন নতুন মামলায় গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৫
কামাল আহমেদ মজুমদার ও সাবিনা আক্তার তুহিন/ফাইল ছবি

জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর দুই থানার পৃথক চার মামলায় কারান্তরীণ সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

নতুন করে মিরপুরে আব্দুল্লাহ কবির হত্যা মামলা ও আদহাম বিন আমিন হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার ও সাবিনা আক্তার তুহিনকে এবং পল্লবী থানার অস্ত্র মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।

আব্দুল্লাহ কবির হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে মিরপুর-১০ গোল চত্বর আইডিয়াল স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতাকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছিলেন আব্দুল্লাহ কবির। সেখানে পুলিশ, র‌্যাব, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নির্বিচারে গুলি চালায়। তখন গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ কবির।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১৯ আগস্ট মিরপুর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

আদহামের মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছিল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদহাম বিন আমিন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করলে তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর তার ভাই আকিবুন নূর হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মামলা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন বিএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন। পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ এপ্রিল মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

পল্লবী থানার অস্ত্র মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নেওয়া অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেসব অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কামাল আহমেদ মজুমদার নিজের ব্যক্তিগত দুটি অস্ত্র জমা দেননি। এ ঘটনায় পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আবু সামা মামলা করেন।

এমআইএন/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।