বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের দুর্নীতি মামলার রায় ২৮ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহা. আবু তাহের মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এদিন ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এস.এস মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। এরপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর তৎকালীন বিচারক মোজাম্মেল হোসেন। মামলার বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বরের একটি ছয়তলা বাড়ি, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে গয়েশ্বরের বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক উক্ত বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা গয়েশ্বরের গোপনকৃত এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ। এছাড়া গয়েশ্বরের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মের্সাস আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হতে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এমআইএন/এনএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।