পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ নিয়ে আপিলের শুনানি ১ মার্চ


প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য ১ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।২০১১ সালের ৩ মার্চ লিভ টু আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। এর আগে ২০১০ সালের ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিচারপতি রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে রায় দেন। শান্তিচুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় হাইকোর্ট। তবে রায়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তিকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে রাঙামাটির বাঙালি অধিবাসী মো. বদিউজ্জামান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম শান্তিচুক্তির বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিট আবেদন করেন। বদিউজ্জামানের রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে রুল জারি করেন সরকারের প্রতি।

অন্যদিকে তাজুল ইসলামের অপর একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য শান্তিচুক্তি কেন বাতিল করা হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করা হয়। এই রিটের শুনানিতে আদালতের বন্ধু আইনজীবী হিসেবে টি এইচ খান ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য গ্রহণ করেন আদালত। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও মো. তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সই করে।এ চুক্তি সইয়ের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সশস্ত্র সংগ্রামের পথ ছাড়ে। পরে ১৯৯৮ সালের ২৪ মে পার্বত্য শান্তিচুক্তির আওতায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন’ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে গঠন করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। জনসংহতি সমিতির প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) পরিষদের চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
 
এফএইচ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।