বাজারের আমে ফরমালিন নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২৩ জুন ২০১৯

বাজারে থাকা মৌসুমি সুস্বাদু ফল আমের নমুনা সংগ্রহ করে আমপ্রেমীদের সুসংবাদ দিচ্ছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার আগে পাওয়া সূত্র বলছে, কয়েক বছরের তুলনায় এবার আমে ফরমালিনের উপস্থিতি অনেকটাই কমে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে ৪০টি আমের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার পর ফরমালিন পাওয়া যায়নি।

আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের গঠিত বেঞ্চে বিএসটিআইয়ের এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

কয়েক বছর ধরে আমের মৌসুমে এক আতংকের নাম হলো ফরমালিন। তবে এবার আমের মৌসুম শুরুর হওয়ার আগেই হাইকোর্টে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত মনিটরিং শুরু করেছে বিএসটিআই। এরই মধ্যে ১৯ ও ২০ জুন দুদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে ৪০টি আমের নমুনা সংগ্রহ করার পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, এসব আমে ফরমালিন নেই।

Mango

রাজধানীর কারওয়ানবাজার, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে পরীক্ষা করার পর এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে আদালতকে জানানো হয়। পরে বিষয়টি জাগো নিউজকে জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার মুহাম্মদ রাসেদুল হাসান।

তিনি জানান, এর আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৬৫টি আমের নমুনা পরীক্ষা করে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর দেয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। তাদের প্রতিবেদন বলছে, এসব নমুনার কোনোটিতেই মেলেনি ফরমালিন বা ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি।

এর আগে গত ১৮ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ আমসহ বিভিন্ন ফলে ফরমালিনের বিষয়ে মান নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রতিবেদনে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ওই দিন ফরমালিন নির্মূলের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ও র‌্যাবকে নির্দেশ দেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলে জানান বিএসটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার মুহাম্মদ রাসেদুল হাসান।

Mango

ওই দিন আদালত বলেন, ‘আমসহ বিভিন্ন ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহারে দেশের অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আগামী প্রজন্মের স্বার্থেই এ বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার। বিএসটিআই ঠিকভাবে কাজ করলে দেশের অবস্থা এ রকম হতো না। বাংলাদেশে এখন মানুষের স্বাস্থ্যের কোনো নিরাপত্তা নেই। অবস্থা এমন যে ভালোভাবে বাঁচার উপায় নেই।’

সারা বছরই ফলে রাসায়নিক মেশানো হয় কিনা তা তদারকিতে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, মৌসুমি ফলসহ আমে রাসায়নিক প্রতিরোধে নমনীয় অবস্থানে না থেকে অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থাকে আরও কঠোর হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এফএইচ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।