হোটেল ব্যবসার আড়ালে মানবপাচার: ব্যবসায়ী আজম খানের জামিন স্থগিত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হোটেল ব্যবসায়ী মো. আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
এর আগে গত ১৯ জুলাই আজম খানকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে এ জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ওই জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনটি আজ শুনানির জন্য ওঠে।
জানা গেছে, আজম খান দুবাইয়ে ৭/৮ বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এগুলোর মধ্যে হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০/৭০ জন নারীকে দুবাই নিয়ে যান। সেখানে অর্থের বিনিময়ে হোটেলে আগতদের সঙ্গে তাদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন তিনি। এটা জানার পর আমিরাত সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গতবছরের দুই জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে। মামলার কয়েকদিনের মধ্যেই গতবছর জুলাইয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তারপর থেকে কারাবন্দি ছিলেন। পরে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। আজ সে জামিনের স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো।
এফএইচ/ইউএইচ/ইএ/এএসএম