আইন ভঙ্গ

ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংককে লিগ্যাল নোটিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২২
ফাইল ছবি

সমবায় সমিতি ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের ধারা এবং সমবায় সমিতি আইনের ধারা ভঙ্গ করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ডাক ও রেজিস্ট্রারযোগে রোববার (১৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলেও জানান এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভে আমানত রাখলে সুদ পাওয়া যায় সাড়ে ১০ শতাংশ হারে। এই লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে তারা। দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতি ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৮ এবং ৩১ ধারা এবং সমবায় সমিতি আইন ২০০১ এর ২৩ (ক)(২) এবং ২৩ (খ) ধারা ভঙ্গ করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড করার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৪ মে জেলা সমবায় কার্যালয় ‘ব্যাংক’ শব্দ ব্যবহার ও অবৈধভাবে লেনদেন বন্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির কাছে একটি চিঠি পাঠায়। পাশাপাশি সমবায় সমিতি আইন অনুযায়ী নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও ওই বছরের ১১ এপ্রিল এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়, সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানটি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিতরণ, স্থায়ী আমানত গ্রহণ এবং শরিয়া ব্যাংক তথা সামগ্রিকভাবে অবৈধ ব্যাংকিং করছে। প্রতিষ্ঠানটি জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গেও সম্পৃক্ত কি না, খতিয়ে দেখা দরকার।

আরও প্রায় এক বছর আগে, ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকেও সমবায় কার্যালয়ে পাঠানো এক স্মারকে বলা হয়েছিল, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে সারাদেশে শাখা খুলে অবৈধভাবে ব্যাংকের মতো আমানত সংগ্রহ ও দাদন কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৮৩৬ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করলেও কোনো স্থাবর সম্পত্তি নেই। ফলে যেকোনো সময় ডেসটিনি, ইউনিপেটুইউ, ম্যাক্সিম ও আইডিয়ালের মতো বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত হিসাবে দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভের আমানতের পরিমাণ ছিল ৮৩৬ কোটি টাকা, ঋণ ৯৪৫ কোটি টাকা। আর অন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫১ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে সিমতির আমানতকারীর সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৬১৭ জন।

এফএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।