গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ
চট্টগ্রামে জীবন বীমার সাবেক কর্মকর্তার কারাদণ্ড

জীবন বীমা করপোরেশনের গ্রাহকদের প্রিমিয়ামের অর্থ আত্মসাতের মামলায় মো. শাহ আলম (৭৩) নামে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজারকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। পাশাপাশি আসামিকে আট লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও তিনমাস সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন বিচারক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় উচ্চতর আদালতে আপিল করার শর্তে আদালত আসামিকে জামিন দেন। একই মামলায় আরেক আসামি উচ্চমান সহকারী মো. জয়নাল আবেদীন তদন্ত চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেন আদালত।
ঘটনার সময় দুই আসামি জীবন বীমা করপোরেশন ৭৫৩নং সীতাকুণ্ড শাখায় কর্মরত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম চট্টগ্রামের মীরসরাই থানাধীন উত্তর কচুয়া গ্রামের মৃত বদিউর রহমানের ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালে জীবন বীমা করপোরেশনের প্রধান অডিট সেলের সহকারী ব্যবস্থাপক সীতাকুণ্ড অফিসের ক্যাশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে জানতে পারেন ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজার শাহ আলম ও উচ্চমান সহকারী জয়নাল আবেদীন পরস্পর যোগসাজশে শাখার পেটিকেশ, গ্রাহকদের প্রথম বছরের প্রিমিয়াম ও নবায়ন প্রিমিয়ামের ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় জীবন বীমা করপোরেশন চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার (সেলস) পূর্ণেন্দু বিকাশ বড়ুয়া বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে ২০০৫ সালের ২১ জুন সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন।
মামলাটি প্রথম দফায় পুলিশ তদন্ত করে। পরে দুদক আইন-২০০৪ অনুসারে তদন্ত করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সিকদার। তিনি ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তদন্ত চলাকালে আসামি জয়নাল আবেদীন মারা যান। অভিযোগপত্রে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় আট স্বাক্ষীর মধ্যে আদালত পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ইকবাল হোসেন/এএএইচ