প্রতারণার মামলায় এরতেজা হাসানসহ চারজনের নামে চার্জশিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২৩

জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান।

মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন- নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিয়াজুল আলম ও সাইফুল ইসলাম ওরফে সেলিম মুন্সী।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর প্রাপ্য বিশ কোটি টাকা পরিশোধ না করে কৌশলে বাদীর কাছ থেকে দলিলটি গ্রহণ করে সময়ক্ষেপণ করেন। পরবর্তী সময়ে কমিশনিং-এর মাধ্যমে দলিলদাতার স্থলে ভিন্ন লোক উপস্থাপন করে স্বাক্ষর জাল করে, থাম্ব ইম্প্রেশন বইতে টিপসই না দিয়ে সরকারি অফিস ও কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে তাদের ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে দলিলের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন।

আরও পড়ুন: যে কারণে গ্রেফতার সম্পাদক এরতেজা হাসান

আশিয়ান সিটির সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় এ নিয়ে মামলা করেন আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া। এ মামলায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করে পিবিআই। রিয়াজুল আলম নামের আরেকজনকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এবং তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজী এরতেজাকে ১ নভেম্বর গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৭ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের জন্য দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির পাঁচ বিঘা জমি কিনতে এজাহারনামীয় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে জমির দাম ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিতে আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ক্রেতা এবং বাকি দুজন সাক্ষী হিসেবে সই করেন।

চুক্তি মোতাবেক আট মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে তারা আত্মসাৎ করেন এবং আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের জাল সই দিয়ে দলিল করেন যে তারা সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেছেন। জাল দলিলে জমির দাম ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

জেএ/এমএইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।