হিন্দু নারীদের বিয়েবিচ্ছেদ-সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার দিতে রুল জারি
হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীদের বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ে নিবন্ধন, ব্যবস্থাপনা, অভিভাবকত্ব, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার দিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে হিন্দু নারীদের ডিভোর্স, রেজিস্ট্রেশন, রক্ষণাবেক্ষণ (ভরণপোষণ), অভিভাবকত্ব, দত্তক এবং সমান অধিকার ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় নির্দেশিকা বা নীতি গ্রহণ অথবা সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
একই সঙ্গে এসব বিষয়ে সমস্যা সমাধানে কেন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. শাহিনুজ্জামান।
‘উইমেন্স রাইট বাস্তবায়নে’ করার দাবিকে ছয়টি বেসরকারি সংস্থা ও তিন ব্যক্তির করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহাবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন, অ্যাডভোকেট এস এম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট তামান্না।
এর আগে গত ২ মে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট উজ্জল পাল, কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা পলি ব্যানার্জি, নাটোর সদরের বিতিশা বাগচীর সঙ্গে এ রিট করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, নারীপক্ষ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও অভিযান।
শাহীনুজ্জামান জানান, কয়েকটি সংগঠন, বাংলাদেশের হিন্দু নারীদের যে অধিকার আছে সে অধিকার বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন একজন আইনজীবী এবং আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী।
রিটে হিন্দু নারীদের ডিভোর্স, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ভরণপোষণ নিয়ে যে অসামঞ্জস্য আছে, সে বিষয়ে গাইডলাইন করার আবেদন করা হয়। হিন্দু নারীদের ডিভোর্স, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্বসহ সমান অধিকারের প্রশ্নে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/এএএইচ/জেএমআই/এমআইএইচএস