চুলের যত্নে টকদই না ডিম, কোনটি বেশি উপকারী

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধুলাবালি ও রোদের তাপে চুলের ক্ষতি হয়। সঠিক যত্নের অভাবে চুল ধীরে ধীরে রুক্ষ, নির্জীব ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। এসব থেকে রক্ষা পেতে চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে।

ঘরোয়া উপাদান হিসেবে চুলের যত্নে টকদই ও ডিম বেশ উপকারী। দই ও ডিম একসঙ্গে ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব উভয়ই বাড়ে। তবে দুটির কাজ কিন্তু আলাদা।

চুলের কী প্রয়োজন, কীভাবে ব্যবহার করবেন তা জেনে নিয়ে ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাবেন।

চুলের যত্নে টকদই না ডিম, কোনটি বেশি উপকারী

চুলের জন্য টকদই কতটা ভালো?

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ টকদই দারুণ কার্যকর। শুধু মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতেই নয়, চুল পড়া এবং খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যও টকদই অতুলনীয়। নিয়মিত টকদইয়ের প্যাক ব্যবহার করলে চুল হবে ঝলমলে ও মসৃণ।

টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ত্বকের মৃত কোষ থেকে মুক্তি দিতে পারে। ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। যাদের স্ক্যাল্প স্পর্শকাতর, প্রদাহজনিত অস্বস্তি আছে - তারা মাথার ত্বকে টকদই ব্যবহার করতে পারেন। এটি মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

চুলে ডিম ব্যবহারের উপকার

ডিমকে প্রোটিনের ‘পাওয়ারহাউজ়’ বলা হয়। ডিমে প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য জরুরি। নিষ্প্রাণ, দুর্বল চুলে পুষ্টি জোগাতে ডিম বেশ উপকার করবে। ডিমের সাদা অংশের চেয়েও মাথার ত্বকের জন্য কুসুম বেশি উপকারী। আবার চুলে মসৃণ ভাব আনতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ বেশি কার্যকর।

চুলের যত্নে টকদই না ডিম, কোনটি বেশি উপকারী

যেভাবে বানাবেন

১ টি ডিমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলেই চুল হবে নরম, মসৃণ ও সুন্দর।

সূত্র: পিংকভিলা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ফেমিনা

আরও পড়ুন:
নোংরা চিরুনিতে চুল আঁচড়ালে যে সমস্যা হতে পারে
পেঁয়াজের রস কি আসলেই চুল পড়া বন্ধ করে

এসএকেওয়াই/এএমপি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।