গুণে ভরা সফেদা


প্রকাশিত: ০৫:২৮ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

সফেদা বেশ পরিচিত একটি দেশি ফল। এটি সম্পূর্ণ ফ্যাটমুক্ত। সফেদা গাছ বহুবর্ষজীবী, চিরসবুজ বৃক্ষ। এর আদি নিবাস মেক্সিকোর দক্ষিণাংশ, মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল। পেটেনেস ম্যানগ্রোভ ইকো-অঞ্চলের উপকূলীয় ইউকাতানে এই গাছ প্রাকৃতিকভাবে বিস্তার লাভ করে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মেক্সিকোতে এর ব্যাপক উৎপাদন হয়।

যারা মিষ্টি পছন্দ করেন তারা সফেদা খেতে পারেন। সফেদায় প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ রয়েছে। নিয়মিত সফেদা খেলে ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধ ও দাঁত ভালো থাকে। পাকা সফেদায় পেতে পারেন পটাশিয়াম, কপার, আয়রন, ফোলেট, নিয়ামিন ও পান্টোনিক অ্যাসিড।

সফেদা গাছ ৩০ মিটার কিংবা এর চেয়েও লম্বা হতে পারে। এর কাণ্ডের ব্যাস ১.৫ মি. পর্যন্ত হতে পারে। এর ছালে প্রচুর সাদা আঠালো কষ থাকে। যা ‘চিকল’ নামে পরিচিত। দুধের মতো কষগুলো বেশ আটালো, তাই এক সময় চুইংগাম শিল্পের অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত হত। এক সময় চুইংগামের কাঁচামাল ছিল এর কষ। এর পাতা সুন্দর, মাঝারি আকারের, সবুজ ও চকচকে।

সফেদার রয়েছে ওষুধি গুণ। সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার সমস্যা কমায়। ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করে। শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফুসফুস ভালো রাখে। সফেদার বীজের নির্যাস কিডনি রোগ সারাতে সাহায্য করে। সফেদা হজমে সাহায্য করে। অর্ধেক পাকা সফেদার পানি ফুটিয়ে কষ বের করে ব্যবহারে ডায়রিয়া ভালো হয়।

১০০ গ্রাম সফেদায় আছে ৮৩ ক্যালরি, ৩.৯ গ্রাম মিনারেল, ৫.৬ গ্রাম ফাইবার, প্রথম গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৪.৭ গ্রাম ভিটামিন। সফেদা গাছের ছাল ও পাতা সমান উপকারী। গবেষণায় প্রমাণিত, সফেদার পাতা ঠান্ডাজনিত অসুখ কমাতে সাহায্য করে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।