বৃষ্টি দিনের শাড়ি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩০ এএম, ১১ জুলাই ২০১৭

শাড়ি পরতে ভালোবাসেন সব বাঙালি নারীই। এই বর্ষায় শাড়িই হতে পারে একটি আদর্শ পোশাক যদি তা ঠিকঠাকভাবে পরা যায়। এইসময় পোশাকের কাপড় এমন হতে হবে যেন তা বৃষ্টির কারণে ভিজে গেলেও সহজে শুকিয়ে যায়। আর এ ধরনের কাপড়ের তালিকায় জর্জেট সবার ওপরে। গরমে আরাম আবার বৃষ্টিতে ভিজলেও শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। পরার আগে ইস্ত্রি করার ঝামেলাও নেই। এরপর আসে সিল্ক বা হাফ সিল্ক। পিওর সিল্ক না হয়ে এই সময়ে সামু সিল্ক বা সার্টিন সিল্কের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। অ্যান্ডি কটন শাড়িও সময়োপযোগী। এ ধরনের শাড়ি এমনিতেই পরিপাটি আর সামলানো সহজ। কাদা পানি লাগলেও ধোয়া সহজ।

রঙ

এ সময় শাড়ির জন্য বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল রঙগুলো। মেজেন্টা, বেগুনি, গাঢ় সবুজ বা কলাপাতা সবুজ, নীল, লাল, হলুদ রংগুলো দারুণ লাগবে। অন্যান্য রঙের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ব্রাউন, নেভি ব্লু, রেড, মেরুন, অলিভ। 

যত্ন

সঠিক যত্নে পুরোনো ও দামি শাড়িগুলো অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব। তাছাড়া বর্ষার এই মৌসুমে আদ্র আবহাওয়া শখের শাড়িও নষ্ট করে দিতে পারে। ঠিক এই সময়টাতে দরকার শাড়ির উপযুক্ত যত্ন। বর্ষার এই মৌসুমে আকাশে কড়া রোদের খেলা চলে তখন অন্তত একঘণ্টা করে শখের শাড়ি শুকিয়ে নিন, আদ্র ভাব চলে যাবে। শাড়ির ভাঁজে ন্যাপথলিন, কালোজিরা বা নিমপাতা ইত্যাদি দিয়ে রাখকে পারেন, এতে পোকায় কাটবে না।

আলমারি বা ট্রাংক যেখানেই শাড়ি রাখুন না কেন, সেখানে যেন তেলাপোকা বা ইঁদুর ঢুঁকতে না পারে। কাঠের আলমারিতে শাড়ি রাখলে তা মাঝে খেয়াল করতে হবে আলমারি ঘুণে ধরেছে কি-না, নইলে শাড়ি কেটে দিতে পারে। স্টিলের আলমারিতে মরিচা লেগে শাড়ি নষ্ট হতে পারে। তাই আলমারি খুলে আদ্র ভাব থাকলে শুকনা কাপড়ে মুছে দিতে পারেন। পরিহিত শাড়িতে বাইরে থেকে এসে কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে ঘাম শুকিয়ে নিন, এতে দাগ পড়বে না।

Sharee

আলমারিতে শাড়ি রাখার আগে অবশ্যই ঝেড়ে মুছে নিবেন। মসলিন বা কাতান শাড়ির ক্ষেত্রে অবশ্যই সাদা কাগজ ব্যবহার করতে হবে। এসব শাড়িতে ড্রাই ওয়াশ না করে পলিশ বা কাঁটা ওয়াশ করানোই ভালো। সুতি শাড়ি ইস্ত্রি করে কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে তুলে রাখুন, অনেকদিনের জন্য রাখতে হলে মাঢ় না দেয়াই ভালো। জর্জেট ও শিফন শাড়ি ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে শাড়ি রোল করে রাখুন এবং অবশ্যই এই শাড়িগুলোতে নিম পাতা বা কালো জিরা দিয়ে রাখতে হবে।

গয়না

শাড়ির সঙ্গে লম্বা ঝোলানো মালা বেশ চলছে। পুঁতির মালায় মেটালের নকশাদার লকেটও বেছে নিতে পারেন। নকশাদার জমকালো ব্লাউজের সঙ্গে গলায় গয়নার দরকার হয় না। কানে ছোট দুল পরতে পারেন। উপলক্ষ বুঝে ঝুমকা বা একটু বড় দুলও পরা যেতে পারে। হাতে কয়েকটা চুড়ি বা মোটা বালা মানানসই। গয়নাগাটি হবে একদমই ছিমছাম। গা-ভর্তি ভারী গয়না একদমই না। শাড়ির পাড়ে কাজ থাকলে গলা খালিই রাখুন। পাড় ও আঁচলে সাদামাটা কাজ থাকলে গলায় পরতে পারেন অ্যান্টিক, স্টোনের হালকা কোনো নেকপিস কিংবা ঝোলানো মালা। হাতে থাকুক দু-একটি মোটা বালা বা চুড়।

সাজ

বর্ষার সময় চাই হালকা স্নিগ্ধ সাজ। দিনের বেলায় হালকা আর রাতে লাল, কফি, মেরুন, বাদামি, বেগুনি, পিচ রঙের লিপস্টিকে জমকালো দেখাবে। এ সময় ফাউন্ডেশন বাদে মেকআপের সব উপকরণই হবে শুকনো বা ম্যাট। মেকআপ করার আগে মুখে একখণ্ড বরফ কুচি ঘষে নিলে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে মুখ ঘামবে কম। তারপর মুখ শুকিয়ে নিয়ে কমপ্যাক্ট পাউডার ও তার সঙ্গে ভালো মানের কোনো বেবি পাউডার সামান্য একটু মিশিয়ে মুখে ভালোমতো পাফ করে নিতে হবে। রাতের কোনো দাওয়াতে ব্লাশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তা যেন কোনোমতেই ক্রিমি না হয়। হালকা রঙের ম্যাট ব্লাশন গালে অল্প করে বুলিয়ে নিতে পারেন। 

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।