মাম্পস কী? কাদের হয় ও এর লক্ষণ কী?
মাম্পসের সমস্যায় ছোটরাই বেশি ভোগে। তবে বড়দের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে মূলত ভাইরাস আক্রমণের কারণে প্য়ারোটাইড অথবা স্য়ালিভারি গ্ল্যাণ্ড ফুলে। ফলে গলা ও মুখ ফুলে যায়, একই সঙ্গে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়।
মাম্পস কিন্তু একটি ছোঁয়াছে রোগ। মূলত লালা ও স্পর্শের মাধ্য়মে এই রোগ একজনের থেকে অনেকের মধ্য়ে ছড়িয়ে যায়। শিশু-কিশোররাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। ভাইরাস ইনফেকশনের কারণে ঘটে মাম্পস। আর একবার মাম্পস হলে সাধারণত দুই সপ্তাহের আগে সারে না।
আরও পড়ুন: শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কী কী ও কখন হাসপাতালে নেবেন?

এর লক্ষণ কী?
মাম্পস ভাইরাসের সংক্রমণের ১৪-২৫ দিন পরে উপসর্গগুলো বেড়ে যায়। যেমন-
>> চোয়াল ফুলে যায়
>> মাথাব্যথা
>> মাংসপেশীতে ব্যথা
>> গাঁটে ব্যথা
>> শুকনো মুখ
>> খিদে কমে যাওয়া
>> জ্বর
>> দুর্বলতা
>> টেস্টিকুলারে ব্যথা
>> বিরক্তিভাব ইত্যাদি।

এর প্রধান কারণ কী?
আরও পড়ুন: শিশুর অ্যাজমার মারাত্মক লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
প্যারামাইক্সোভাইরাস ফ্যামিলির ভাইরাসের কারণেই মাম্পস হয়। এই ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে নাক-মুখের মাধ্যমে প্রবেশ করে শরীরে। এজন্য মাম্পসে আক্রান্তদের উচিত সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা, যাতে হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে না পড়ে।
মাম্পস নির্ণয়ের উপায় কী?
>> অতীতে মাম্পসের টিকা নেওয়া হয়েছে কি না তা দেখা
>> গলা ও কানের পরীক্ষা
>> ভাইরাস ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি নির্ণয়ের জন্য রক্তপরীক্ষা করা
>> ভাইরাস নির্ণয়ের জন্য মুখের লালা বা সোয়াব টেস্ট করা
>> প্রস্রাব পরীক্ষা করা।
মাম্পসের চিকিৎসা কী?
আরও পড়ুন: শিশুর ৬ মাস হলে যেসব খাবার খাওয়ানো জরুরি
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হওয়ায় মাম্পসের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। যতক্ষণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ততক্ষণ শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ গুরুতর আকার ধারণ করে। তখন যা করবেন-
>> সংক্রমণ ছড়ানো প্রতিরোধে অন্যদের থেকে আক্রান্তকে আলাদা রাখুন
>> জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল
>> ফোলার জন্য ইবুপ্রোফেন
>> ফোলার জন্য গরম বা ঠান্ডা সেঁক
>> শক্ত খাবারের পরিবর্তে আক্রান্তকে তরল খাবার খাওয়াতে হবে।
>> একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতে হবে।

আরও পড়ুন: বর্ষায় শিশুকে নানা রোগ থেকে বাঁচাবেন যেভাবে
মাম্পস প্রতিরোধের উপায়
মাম্পস প্রতিরোধের শক্তি শিশু বয়সের প্রথম ৪-৬ মাস পর্যন্ত বজায় থাকে, যা সে মায়ের কাছ থেকে লাভ করে। মাম্পস আক্রান্ত শিশু প্রায় সারা জীবনের জন্য ইমিউনিটি লাভ করে। এমএমআর ভ্যাকসিন মাম্পসের জন্য অত্যন্ত কার্যকর প্রতিরোধক টিকা। তাই শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব এই টিকা দিন।
সূত্র: মাই উপাচার/বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জিকেএস