ক্র্যাব পরিবারের সদস্যদের পদচারণায় মুখরিত ‘স্পন্দন’
বিকেল চারটা। মঞ্চে সাজানো টেবিলের ওপর স্বচ্ছ একটি কাঁচের জার। জারটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট দুটি শিশু। বয়স পাঁচ বছরেরও কম। র্যাফেল ড্র’র কুপন জার থেকে তুলতে তাদের ডেকে আনা হয়েছে। মঞ্চের মাইকে বার বার ঘোষণা আসছিল র্যাফেল কুপন ফেলার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। একটু পরে আসলে কেউ আর কুপন ফেলতে পারবেন না।
ঘোষণা শেষে শিশু দুটিকে টিকিট তুলতে বলা হলো। কিন্তু শিশুদের উচ্চতা এতটাই কম ছিল যে তারা হাত ঢুকিয়ে কুপন তুলতে পারছিল না। বড়দের মধ্যে থেকে একজন তাদের ধরে ওপরে তুলে কুপন উঠাতে সাহায্য করলো। পালাক্রমে কয়েকটি কুপন তোলার পর হঠাৎ করে কুপন তোলার জন্য আর কমবয়সী শিশু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মাইকে ঘোষণা দিলেন, যাদের বাচ্চার বয়স পাঁচেরও কম তাদের পাঠান। কিন্তু নতুন কোনো শিশু খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
সাভারের গেন্ডায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) এর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে এ দৃশ্যের অবতারণা হয়।
অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদকদের বনভোজনের অন্যতম আকর্ষণ র্যাফেল ড্র ’তে ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটর, এলইডি টিভি, ডিনারসেট, মাইক্রোওয়েভ ওভেনসহ আকর্ষণীয় সব পুরস্কারের ঘোষণা ছিল।
কেউ যেন র্যাফেল ড্র’র পক্ষপাতিত্ব করতে না পারে সে জন্য পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের দিয়ে র্যাফেল ড্র’র কুপন তোলা হয়। কিন্তু কিছু কুপন তোলার পর শিশু খোঁজে না পাওয়ার কারণ হলো, শিশুরা একটি ছোট্ট পার্কে খেলাধুলায় ব্যস্ত। ক্র্যাবের এবারের বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয় সাভারের গেন্ডার স্পন্দন নামক একটি পিকনিক স্পটে।
সাভার উপজেলা কার্যালয়ের বিপরীত দিকের রাস্তা ধরে কয়েক মিনিট গেলেই পিকনিক স্পটটি। ছোট একটি পার্ক, সামনে খোলা মাঠ, খাঁচায় বন্দি হরিণ, খরগোশ, পিছনে পুকুর, পুকুরের ধারে রাজহাঁসসহ আকর্ষণীয় এ স্পটটিতে অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সময় কাটালো।
বিশেষ করে শিশুদের আনন্দ ছিল একটু বেশি। ক্র্যাব সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে ক্র্যাব কেন্দ্রীয় নেতাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনায় নির্জন পরিবেশে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নানা আয়োজন চলতে থাকে।
সকালের নাস্তা, কমন গিফট বিতরণ, চা আপ্যায়ন, দুপুরের খাবার, আইসক্রিম বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্র্যাব সদস্যদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন, বিকেলের নাস্তায় ফলমূল বিতরণ ও সর্বশেষ আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে বনভোজনের সমাপ্তি ঘটে। আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র ’তে রিহ্যাবের সৌজন্যে প্রথম পুরস্কার পান জিটিভির মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রথম পুরস্কার ছিল ১০০ সিসি টিভিসি মোটরসাইকেল।
এমইউ/এমআরএম/এমএস
