বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারে নেপাল: রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, স্থলবেষ্টিত নেপাল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারে। পরিবর্তে, বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে নেপাল থেকে পরিষ্কার, নবায়নযোগ্য জলবিদ্যুৎ আমদানি করে উপকৃত হতে পারে।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটনে ‘বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক: একটি নতুন উচ্চতার দিকে’ শীর্ষক কান্ট্রি লেকচারে (সিএলএস) তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এই লেকচারের আয়োজন করে।
বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস কান্ট্রি লেকচারে মূল বক্তব্য প্রদান করেন।
আরও পড়ুন
- সুতা আমদানি বন্ধে নতুন বিপদে পোশাক রপ্তানিকারকরা
- ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা
- ভারত-নেপাল-ভুটান থেকে বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা
রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল ভৌগোলিক নৈকট্য এবং ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন ভাগ করে নিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি সহযোগিতা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্ব পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক একীকরণের জন্য অপরিসীম সম্ভাবনা বহন করে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ভৌত সংযোগ বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ হিসেবে রয়ে গেছে, তাই উন্নত পরিবহন সংযোগ সড়ক, রেল বা বিমান বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বক্তারা আশাবাদ জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-নেপাল শক্তিশালী অংশীদারত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। উভয় দেশই যেহেতু একক অংশীদারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে এবং তাদের বৈদেশিক সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে, তাই তাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পারস্পরিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাস্তবমুখী কূটনীতির একটি মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কূটনৈতিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মিডিয়া গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে তাদের মতামত, মন্তব্য, পরামর্শ এবং পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
এসআরএস/ইএ