সাবেক যুগ্ম সচিবসহ ১৫ বিচারকের সম্পদের বিবরণী তলব দুদকের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৬ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা ও সাবেক দুই বিচারকের বিরুদ্ধে ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট তিনজনসহ মোট ১৪ বিচারকের ব্যক্তিগত নথিসহ সম্পদের বিবরণী তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অনুসন্ধান টিমের পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সংক্রান্ত নথি জাগো নিউজের হাতে এসেছে। 

অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্টদের পার্সোনাল ফাইল, ডাটাশিট এবং সর্বশেষ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর অনুলিপি আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। 

যাদের নথিপত্র তলব করা হয়েছে

দুদকের চলমান অনুসন্ধানে যেসব বিচারিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের নথি তলব করা হয়েছে তারা হলেন- আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান সরকার, সিলেটের সাবেক জেলা জজ মনির কামাল, ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম, গাজীপুরের সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাইসারুল ইসলাম, নড়াইলের সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম, ময়মনসিংহের সাবেক বিশেষ জজ ফারহানা ফেরদৌস, শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সাবেক জজ কামরুন নাহার রুমি, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ গৌরাঙ্গ হোসেন, সিলেটের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ ও হবিগঞ্জের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী।

মূলত আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম ও সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ও তাদের পরিবারের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সূত্র ধরে তাদের নথিপত্র তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সমন্বয়ে টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে পতিত শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আনিসুল হক। তার সময় থেকে ধীরে ধীরে কলুষিত হতে থাকে বিচার বিভাগ। আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকা এবং এর আশপাশের আদালতে কর্মরত বেশকিছু বিচারক মন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম ও সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর। 

অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যক্তি ঘুস গ্রহণ, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে তারা নিজ বা পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এসএম/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।