টেলিযোগাযোগ খাত

বিশেষ সহকারীর চিঠির বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন দুদক চেয়ারম্যান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২৫
দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন/ ফাইল ছবি

টেলিযোগাযোগ খাতের একটি প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত ‘থামিয়ে দিতে’ প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একটি চিঠি দিয়েছেন বলে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশ হয়। ওই চিঠি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে দুদকের অবস্থান জানালেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বিশেষ সহকারী পত্রটিতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের আধুনিকায়নের আহ্বানে সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এই কারণে যে, আমাদের কাছে কিন্তু এই সংক্রান্ত একটা অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। ফলে আমরা যদি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করি তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিষয়টা বিতর্কিত হতে পারে এবং আমি যেভাবেই কথা বলি না কেন, দেখা যাবে যে সেটা অনুসন্ধানকে প্রভাবিত করতে পারে। সেই কারণে আমার মনে হয়, এ বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মুখপাত্র হিসেবে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না, কারণ মন্তব্য করলে তা তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে তৈয়্যব সাহেব যখন মন্তব্য করেন, সেটিও কি প্রভাবিত করে না? এমন প্রশ্নে দুদকের এই মহাপরিচালক বলেন, আমরা কিন্তু বলিনি সেটা প্রভাবিত। আমরা শুধু বলেছি, চেয়ারম্যান বলেছেন যে সেটাতে যেন বিভ্রান্তি না ছড়ায়, সেজন্য তিনি তার অবস্থানটা এখানে পরিষ্কার করেছেন।

টেলিযোগাযোগ খাতের একটি প্রকল্প নিয়ে ‘দুদককে থামিয়ে দিতে বিশেষ সহকারীর চিঠি, দেড়শ কোটির প্রকল্পে ব্যয় ৩২৬ কোটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রোববার প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা।

পরদিন সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত ‘থামিয়ে দিতে’ চিঠি দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন।

তার ভাষ্য, মূলত সেই ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) দিয়ে দুদকের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সকে কেন্দ্র করে ‘স্বার্থান্বেষী মাফিয়াদের রোষানলে পড়েছেন’ বলে অভিযোগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী তার অবস্থান জানিয়ে দুদককে চিঠি দেওয়ার কারণও তুলে ধরেন।

এসএম/এএমএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।