পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা ‘চাঁদা না পেয়ে’ হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৫

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৫
পল্লবীতে চাঁঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জন

রাজধানীর পল্লবীতে ৫ কোটি টাকার চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এর আগে গতকাল (রোববার) তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল থানা পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ৮ জন।

নতুন গ্রেফতাররা হলেন- মো. আব্বাস (২৯), মো. ইয়ামিন (২৭), মো. সোহেল (২৩), মো. মাজহারুল (৩০) ও মো. চাঁদ মিয়া (২২)।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে র‍্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য জানান।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে তিনি বলেন, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে। দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরিফুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা আহত হন। তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয় এবং এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি আরও জানান, মামলার পরপরই র‍্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাঁচ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে জানান, তারা জনৈক জামিলের প্ররোচণায় এ ঘটনায় অংশ নেন।

গ্রেফতার আসামি সোহেলের (২৩) বিরুদ্ধে তিনটি, আব্বাসের (২৯) বিরুদ্ধে চারটি এবং মো. চাঁদ মিয়ার (২২) বিরুদ্ধে তিনটি মাদক, হত্যা, ডাকাতি মামলা রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

গতকাল পল্লবী থানা পুলিশ যে তিনজনকে গ্রেফতার করে তারা হলেন- নিলয় হোসেন বাপ্পী, মামুন মোল্লা ও মোহাম্মদ রায়হান।

টিটি/এএমএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।