সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
ঢাবির অধিভুক্ত বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোকে ঢাবির অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের আদলে স্বতন্ত্রতা নিশ্চিতকরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৭ জুলাই) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংকলেজ সংস্কার আন্দোলন শীর্ষক ব্যানারে কারিগরি ও অধিভুক্ত দ্বৈত কাঠামো বাতিল করে বিআইটি গঠনের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী সালমান সাব্বির বলেন, আমরা ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও সিলেট সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী। বিগত ২০ মে থেকে আমাদের ওপর চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং যৌক্তিক দাবি কম্বাইন সিস্টেম বাতিল নিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার পাশাপাশি, ২৪ জুন থেকে প্রশাসনিক ভবনে সিলমহর করি। গত ১৮ মে এই কম্বাইন সিস্টেমের বলি হয় আমাদের সহপাঠী ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ধ্রুবজিত।
এছাড়াও দাবি আদায়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিষয়গুলো আমলেই নেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যে জায়গায় তাদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিৎ ছিল সেটা না করে বরং তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর ন্যায্য দাবির বিপরীতে গিয়ে একতরফা তাদের অধিভুক্ত প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়। এই বাস্তবতায়, আমরা সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের অধীন থাকতে চাচ্ছি না। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমাদের সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোকে ঢাবির অধিভুক্ত বাতিল করে, আমাদের একদফা দাবি, ঢাবির অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের আদলে স্বতন্ত্রতা নিশ্চিতকরণ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির সমস্যা জানিয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, কম্বাইন সিস্টেমে প্রশ্ন, পরীক্ষার ফলাফলের দীর্ঘ বিলম্বিত, সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন আসা, অযৌক্তিক প্রশ্ন মডারেশন দূর করতে হবে।
কারিগরি সমস্যা উল্লেখ করে তারা জানান, শিক্ষক জটিলতা (বর্তমানে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একটি ডিপার্টমেন্ট একদম শিক্ষক শূন্য), অবকাঠামোগত সমস্যা, রিচার্জ উইং, ল্যাব ফ্যাসিলিটি (ক্রাফ্টরা জানেই না কোন ইন্সট্রুমেন্টের কি নাম, এছাড়াও কারিগরি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়হীনতার ফলে আরো বহুবিধ সমস্যা রয়েছে।
দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, যদি শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের দাবি না মেনে নেয় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
কেআর/এমআরএম/জেআইএম