২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ: আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল তাকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
গত ২৩ জুলাই জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক অধ্যাপক আবুল বারকাতকে তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তাকে প্রথমদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ‘অ্যাননটেক্স’ নামের একটি গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকার বেশি ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যাপক আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় গত ১০ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে আবুল বারকাতকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

আরও পড়ুন
১১ জুলাই দুপুরে আবুল বারকাতকে আদালতে তোলা হলে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন, তবে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি এবং মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক পিএলসি ভবনের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিদেশে পাচারের (মানিলন্ডারিং) অভিযোগও আনা হয়েছে।
২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে জনতা ব্যাংক অ্যাননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করে। সেসময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক আবুল বারকাত।
২০১২ সালে প্রথম এই ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে দুদক। তবে ২০২২ সালে প্রমাণের অভাবে তদন্ত বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। পরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এসএম/ইএ/এমএস