১৪ লাখ টাকায় গ্রিসে যেতে চেয়েছিলেন সজল, ফিরলেন খালি হাতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৫
লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ বাংলাদেশি/ছবি-সংগৃহীত

লিবিয়ার বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল সোয়া ৬টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।

তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লিবিয়াফেরত ব্যক্তিদের কিছু আনুষ্ঠানিকতা চলে। সব কার্যক্রম শেষ করে তারা বের হবেন। তাদের মধ্যে আছেন মাদারীপুরের মো. সজল (২২)। তাকে নিতে বিমানবন্দরে এসেছেন মামা রানা তালুকদার।

আলাপকালে রানা তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, দুই মাস আগে স্থানীয় দালাল আল আমিনের মাধ্যমে লিবিয়া যান সজল। সেখান থেকে গেমের মাধ্যমে গ্রিসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশ থেকে যাওয়ার সাতদিন পরই সজল সাগরে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েন। এর এক সপ্তাহ পর তার আটকের বিষয়টি আমরা পেয়েছি। সেখানে দেড় মাস জেল খেটে আজ দেশে ফিরলো।

বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রানা তালুকদার বলেন, দেশে থাকা অবস্থায় এই টাকা দালালকে তারা দিয়েছেন। তখন দালালও নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন গ্রিসে যেতে, কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। তাই উন্নত জীবনের আশায় দালালের খপ্পরে পড়েছি আমরা। অথচ সজলের বাবা নেই। মা এবং ছোট বোনকে নিয়েই তার সংসার। এখন এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছে।

সজল ধরা পড়ার পর লিবিয়ার পুলিশ তার সঙ্গে থাকা ডলার, ইউরো, রিয়াল নিয়ে গেছে জানিয়ে রানা তালুকদার বলেন, এই দেড় মাস জেলের মধ্যে খুবই কষ্টে ছিলেন সজল। খোঁজ নিয়ে জেনেছি জেলে তাকে ঠিকমতো খাবার দিতো না। এখন গ্রামে গিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারকে বিষয়টি জানাবো। দালাল আল আমিন পরিবারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা চাইবো। টাকা না দিলে আলামিন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করবো।

এমএমএ/এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।