জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালা দখলমুক্ত করা জরুরি: মেয়র শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫
অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ অন্যরা

জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালা দখলমুক্ত করা জরুরি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এছাড়া নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এবং পরিবেশ সুন্দর রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে বলেও জানান তিনি।

মেয়র বলেন, সম্প্রতি আব্দুল লতিফ সড়ক সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে নগরীর অলিগলির সব রাস্তা সংস্কার করা হবে। ইনশাল্লাহ প্রায় ২৩টি বড় সড়ক শিগগির নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শুরু হবে। এতে চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আসবে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নগরীর চকবাজার ডিসি রোড়স্থ ভরাপুকুর পাড় এলাকায় ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের অসহায় দুস্থদের মাঝে চাল ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ এবং বিএনপির সদস্য ফরম পূরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের ২০০ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করেন চসিক মেয়র।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি যখন শপথ গ্রহণ করি তখন অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন জলাবদ্ধতা নিরসন কীভাবে করা হবে। তখন আমার প্রথম চিন্তা ছিল যেখানে যেখানে নালার ওপর বড় বড় মার্কেট তৈরি হয়েছে, সেগুলো ভেঙে দেওয়া। সেই প্রেক্ষিতে বহদ্দারহাটের একটি বড় মার্কেট ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেখানে বড় নালা তৈরি করেছি এবং সেটিকে বারইপাড়া খালের সঙ্গে একটি বিকল্প চ্যানেলের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত করেছি। এর ফলে এলাকায় ভালো ফল পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, হিজরাখাল, বিকল্পখালসহ বিভিন্ন নালার সংস্কার কাজ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত সহযোগিতায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর ফলে বাকলিয়া এলাকায় জলাবদ্ধতার দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। নালার সংস্কার কাজ অব্যাহত থাকবে, কারণ নালাই হচ্ছে আমাদের প্রাইমারি ড্রেনেজ। তবে নগরবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে যেন প্লাস্টিক, পলিথিন বা কর্কশিট নালায় না ফেলে, এগুলোই জলাবদ্ধতার মূল কারণ।

মেয়র বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাস্টিক বোতল ও পলিথিনে জমে থাকা পানিই এ ধরনের ডেঙ্গুমশার জন্ম দেয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নাগরিক হিসেবে আপনারা কেবল সুবিধাভোগী নন, বরং নগরকে ভালোবাসা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও আপনাদের।

চন্দনপুরা ব্রিজের কাজের ধীরগতির বিষয়ে তিনি জানান, এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলেছেন। একইভাবে বাকলিয়া ও কালামিয়া বাজার এলাকার দীর্ঘমেয়াদি কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মেয়র তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমি শপথ নেওয়ার সময় বলেছিলাম, চট্টগ্রাম শহরের ৪১ ওয়ার্ডে ৪১টি খেলার মাঠ তৈরি করবো। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। তরুণ প্রজন্মের জন্য সুস্থ বিনোদন ও খেলাধুলার পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য।

পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক হাজী মো. এমরান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মহিউদ্দিন মিজানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মোহাম্মদ মহসিন, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, সাবেক সদস্য ফরিদুল হক লিটন, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক রাজা মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আখম জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা মো. ইদ্রিস, হাজী নুর মোহাম্মদ, মো. আরিফ, মো. শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএএইচ/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।