কামরাঙ্গীরচর বিচ্ছিন্ন করায় ইসির সামনে বিক্ষোভ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫
নির্বাচন কমিশনের সামনে কামরাঙ্গীরচরবাসীর বিক্ষোভ

কামরাঙ্গীরচর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছিল ঢাকার মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ১৯৯৮ সালে হয় কামরাঙ্গীরচর থানা। এ থানার কিছু অংশ ঢাকা-৭ আর ঢাকা-২ আসনে দেওয়া হয়েছে। এ বিভক্তির পক্ষে-বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে বিক্ষোভ করেছেন কামরাঙ্গীরচরের এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর দাবি, কামরাঙ্গীরচরকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। অনেকে ঢাকা-৭ আসনের সঙ্গে থাকতে চায়। অনেকে প্রতিবাদ করছে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাড়া ঢাকা-২ আসন নয়। এক্ষেত্রে এ থানার অন্তর্গত ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড তিনটি ঢাকা-২ আসনের সঙ্গেই রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের শুনানি শেষে এমন দাবি জানান তারা।

অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, ৫৫, ৫৬ এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢাকা-২ আসন থেকে পৃথক করেছে কমিশন। সেখানে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢাকা-১০ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ৫৬ এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডকে তারা ঢাকা-৭ আসনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ইসি এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৫৯টি আবেদন পড়েছে। ৫৯টি আবেদনের মধ্যে ৫৭টি আবেদন হচ্ছে বিপক্ষে আর দুটি আবেদন পক্ষে।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কামরাঙ্গীচরের অধীনে যেটা আছে, এই তিনটি ওয়ার্ড, ঢাকা-২ আসনের মধ্যেই থাকবে। কেন থাকবে, কারণ ঢাকা-২ আসনে একটি মাত্র থানা কামরাঙ্গীরচর। আর বাকি হলো কেরানীগঞ্জ এবং সাভার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন। কামরাঙ্গীরচর থানা নিয়েই ঢাকা-২ আসন। সুতরাং কামরাঙ্গীরচর থানা অর্থাৎ এই তিনটি ওয়ার্ডকে যদি ঢাকা-২ আসন থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ঢাকা-২ আসনে কোনো থানা থাকে না।

তিনি বলেন, কামরাঙ্গীরচরের জনগণ কেরানীগঞ্জে চাষাবাদ করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত সবকিছু কেরানীগঞ্জের সঙ্গে কানেক্টেড। সুতরাং আমরা বলেছি যে আগের ঢাকা-২ আসনে কেরানীগঞ্জের ছয়-সাতটি ইউনিয়ন, সাভারের কয়েকটি ইউনিয়ন এবং কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-২ আসন। এটাই কামরাঙ্গীচরের জনগণ এবং ঢাকা-২ আসনের সর্বস্তরের জনগণের চাওয়া।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে বহাল রাখার দাবি জানানো হয়। আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে মানববন্ধনে স্থানীয় জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ তিনটি ওয়ার্ড ঢাকা-২ আসনের অংশ হিসেবে রয়েছে। হঠাৎ করে সীমানা পরিবর্তনের চেষ্টা স্থানীয় জনগণের স্বার্থের পরিপন্থি।

তারা দাবি করেন, প্রশাসন যদি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে তবে এলাকাবাসী বঞ্চিত হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

অনেকে কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ঢাকা-৭ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

এমওএস/এনএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।