গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫
গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে

রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্মিত ‘কবি আল মাহমুদ পাঠাগার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এটি উদ্বোধন করেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে নবনির্মিত এ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, কবিকন্যা মীর আতিয়া, কবিপুত্র মীর মোহাম্মদ মনির ও লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক আবিদ আজম।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকায় জমির ব্যবহার নিয়ে বড় সংকট রয়েছে। ওপেন স্পেসকে কীভাবে বহুমুখী কাজে ব্যবহার করা যায় তা বিবেচনায় নিয়ে জনপরিসরে লাইব্রেরি স্থাপনের কাজ করছে ডিএনসিসি।

আরও পড়ুন

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের লাইব্রেরি শিশু-কিশোরদের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবে। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব লাইব্রেরি একেকটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকশিত হবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, শুধু লাইব্রেরি তৈরি করলেই চলবে না, বরং লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য একটি টেকসই কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আল মাহমুদ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনকে অসাধারণভাবে কবিতায় প্রকাশ করেছেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জীবনের প্রতিটি ছন্দে কীভাবে জীবনকে অনুভব করতে হয়, তা আমরা কবি আল মাহমুদের কাছ থেকেই শিখেছি। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কবি ও দার্শনিক।

কবিপুত্র মীর মোহাম্মদ মনির বলেন, কবি আল মাহমুদকে নিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধি বা রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কবি আল মাহমুদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভান্ডারে অমূল্য সম্পদ। তার সাহিত্যকীর্তিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ ধরনের উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এমএমএ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।