একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে ছয়টি সন্তান প্রসব করেছেন এক গৃহবধূ। ছয় নবজাতকের মধ্যে তিনজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে সন্তান। ওজন কম থাকায় তাদের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে গাইনি বিভাগে একে একে ছয়টি সন্তান প্রসব করেন মকসুদা আক্তার প্রিয়া নামের এ নারী।
প্রিয়াকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা এক আত্মীয় জাগো নিউজকে জানান, মকসুদার স্বামী মোহাম্মদ হানিফ কাতার প্রবাসী। আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকাল ৯টার দিকে একে একে ছয়টি সন্তান প্রসব করেন। ছয় নবজাতকের মধ্যে তিনজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে সন্তান।
তিনি আরও জানান, ওজন কম থাকায় ছয় নবজাতকের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে ও বাকি তিনজনকে নীলক্ষেতে অবস্থিত হোমকেয়ার হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইউনিট-১ অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, ভোরে প্রিয়া নামের এক প্রসূতি এখানে ভর্তি হন। সকাল নয়টার দিকে তিনি ছয় সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি বেবি বলা যায় না, এটি আসলে ২৭ সপ্তাহের ইনঅ্যাবিটেবল অ্যাবরশন। তার আগে একটি পূর্ণবয়স্ক শিশু জন্মেছিল, তবে সেটি ডেলিভারির সময় মারা যায়। এবার যে ছয় সন্তান জন্ম নিয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে। তিনজনের ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম ও তিনজনের ৮০০ গ্রাম।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে সাধারণভাবে ২৮ সপ্তাহকে ‘ভায়াবল এইজ’ বলা হয়। এ প্রসূতির ক্ষেত্রে ডেলিভারি আগেই হয়ে গেছে, সাধারণত একসঙ্গে ছয়টি শিশু গর্ভে ধারণ করা স্বাভাবিকভাবে সম্ভব নয়। রোগী ওভুলেশন ইন্ডাকশন ড্রাগ সেবন করেছিলেন, যার ফলে একসঙ্গে একাধিক সন্তান ধারণ হয়েছে। জরায়ুর সীমিত ধারণক্ষমতার কারণে আগেভাগেই ডেলিভারি হয়েছে। এখন পুরো বিষয়টি আল্লাহর হাতে, আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছি।
কাজী আল-আমিন/এমএএইচ/জেআইএম