পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা

মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত কালাম অস্ত্রসহ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার নৌ-ডাকাত আবুল কালাম/ ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে (৪১) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার আবুল কালাম মোট ৩০ মামলার আসামি বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার (১৬সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, র‍্যাব-১১-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা নজরদারি চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মোল্লাকান্দি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি গুলি, টাকা গণনার একটি মেশিন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেফতার আবুল কালামের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলা, বিস্ফোরক আইনে চারটি, ডাকাতির ঘটনায় একটি, চাঁদাবাজির একটি, মাদকের ঘটনায় তিনটি ও ১৮টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে।

মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত কালাম অস্ত্রসহ গ্রেফতার
সংবাদ সন্মেলনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন র‍্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন/ ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছিল নয়ন-পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন খুন হন।

র‍্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৫টার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের দলটি স্পিডবোডে করে গজারিয়া থানার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত জামালপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছামাত্র প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪-৫ টি হাইস্পিডি ট্রলারে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর আগেও র‍্যাব-১১-এর পৃথক তিনটি অভিযানে পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়।

কেআর/এমএমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।