সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ ১৬ মাঝিমাল্লা
মাছ শিকারে গিয়ে ১৭ দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ নৌকাসহ ১৬ মাঝিমাল্লা। নিখোঁজ দুইজনের বাড়ি নোয়াখালী, দুইজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং নৌকা মালিকসহ অন্যরা কক্সবাজার সদর, চকরিয়া ও মহেশখালী এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিখোঁজ নৌকা মালিকের স্ত্রী সেলিনা আকতার বাদী হয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট নৌ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৬ মাঝিমাল্লা নিখোঁজের বিষয়টি সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নৌকা মালিক আলী আকবর (৪৯), মাঝি আবু তাহের (৬৯), জেলে মো. রুবেল (২৭), আমির হোসাইন (২৭), মোহাম্মদ জামাল (৪৯), মোহাম্মদ ইসাক (৩৩), জামাল আহমদ (৩৪), মোহাম্মদ হেলাল (৩৫), শেফায়ত উল্লাহ (৩৯), জয়নাল আবেদীন জইন্যা (৫০), মোহাম্মদ এহছান (৩৮), আবদুল মন্নান (৩৮) ও মোহাম্মাদ ছালাউদ্দিন (৩৮)। অন্য তিনজনের নাম এখনো পাওয়া যায়নি।
সদরঘাট নৌ থানার জিডি সূত্রে জানা গেছে, মাঝিমাল্লাসহ নৌকা মালিক আলী আকবর নিজে ‘এফবি খাজা আজমীর’ নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ফিশারি ঘাট থেকে মাছ শিকারে বঙ্গোপসাগরে রওনা দেন। ওই রাতে সর্বশেষ পৌনে ১০টার দিকে স্ত্রী সেলিনা আকতারের সঙ্গে কথা হয় আলী আকবরের। এরপর থেকে আর কথা হয়নি। এরপর থেকে সাগরে যাওয়া অন্য মাঝিমাল্লাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
মা ইলিশ রক্ষায় শুরু হচ্ছে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান, মাঠে নৌ পুলিশ
চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামে বিক্রি হওয়া ফেব্রিক্সের দুই কনটেইনার উধাও
এ বিষয়ে সেলিনা আকতার বলেন, আমরা চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করি। আমার দুই ছেলে, দুই মেয়ে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে সাগরে মাছ শিকারের জন্য গিয়ে ওই রাত থেকে আমার স্বামীর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সঙ্গে যাওয়া অন্যদের মোবাইলগুলোও বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকে ওই নৌকায় সাগরে যাওয়া কারও সঙ্গে কথা বলা হয়নি। সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর সদরঘাট নৌ থানায় জিডি করেছি। এখনো কারো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ জাগো নিউজকে বলেন, সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে এফবি খাজা আজমীর নৌকার মালিকের স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই।
এমডিআইএইচ/এএমএ/এএসএম