ভাইবোন ও মায়ের নেতৃত্বে অনলাইন প্রতারণা, পাচার ৩৪ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সিআইডির মামলায় অভিযুক্ত একজন/ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন প্রতারণা ও জুয়া এবং হুন্ডি কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩৪ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে একটি পরিবারের ভাইবোন, মা ও ভগ্নিপতি নেতৃত্ব দিতেন।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নয়জনের নামে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় আরও সাত-আটজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আরিফুল ইসলাম রিফাত, মো. ইমরান হোসেন, মো. নুরে আলম, মোছা. লিলি আক্তার, মোছা. রিমি আক্তার, রুমি আক্তার, আব্দুল কাদির জিলানী, মুহা. নেয়ামতুল্লাহ ও মো. রিয়াদ (২৫)।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। প্রথমে ক্ষুদ্র কিছু কাজের বিনিময়ে অল্প অর্থ দিয়ে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করত। পরে বড় প্রজেক্টের অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত।

প্রতারণার পাশাপাশি চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তাদের অজ্ঞাতে ভুয়া ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবার হিসাব খুলত। এসব হিসাব ব্যবহার করা হতো অনলাইন প্রতারণা, হুন্ডি ও জুয়ার অর্থ লেনদেনে।

আরও পড়ুন
ডিএসসিসি প্রশাসকের কণ্ঠ ব্যবহার করে টাকা দাবি প্রতারক চক্রের
নাটোরে ইমো হ্যাক করে প্রতারণা, ১২ জন আটক
ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

এছাড়া চক্রটি ঘুষ-দুর্নীতির টাকাও হুন্ডি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করত। তারা বিভিন্ন ভুয়া হিসাব ও পরিবারের সদস্যদের নামে ছোট ছোট লেনদেনের মাধ্যমে অর্থের প্রকৃত উৎস গোপন রাখত। পরবর্তীতে এসব অর্থ ডিজিটাল হুন্ডি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হতো।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে সিআইডি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে মূল হোতা একই পরিবারের কয়েকজন সদস্য। আরিফুল, তার মা লিলি, দুই বোন রিমি ও রুমি এবং এক বোনের স্বামী জিলানী চক্রটির নেতৃত্ব দিতেন। বর্তমানে ঘটনাটির তদন্ত পরিচালনা করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্‌ঘাটন ও অন্য সদস্যদের শনাক্তে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

টিটি/একিউএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।