তুরাগ নদীর ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

বিআরটি প্রকল্পের কারণে ব্রিজ ভেঙে হয়েছিল টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুরের দুটি আরসিসি সেতু। নির্ভরশীল যাতায়াত ব্যবস্থার জায়গায় স্থাপিত হয়েছিল অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ। কিন্তু কয়েক মাস আগে একটি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জনদুর্ভোগ দূর করতে তুরাগ নদীর ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি তুলেছেন উত্তরা ও টঙ্গীবাসী।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায়ী হাজি ছাত্তার।

উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী বাজার ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম কিরন, আলহাজ তাহের আলী, হাজী আরমান আলী, আব্দুল মাসুদ, মোহাম্মদ কবির হোসেন, শাহ আলমসহ টঙ্গী ও উত্তরার কয়েকশ’ স্থানীয় বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশের প্রাচীন ও অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি কেন্দ্র টঙ্গীবাজার। প্রতিদিন হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। কিন্তু সেতু ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইওভারই এখন যাতায়াতের একমাত্র পথ। এতে ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা পড়েছেন মারাত্মক সংকটে।

তারা আরও জানান, ফ্লাইওভার পথে চলাচল অনিরাপদ ও কষ্টসাধ্য। পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ পড়ছে, যা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতার ওপরও প্রভাব ফেলছে। তাছাড়া সাধারণ পথচারী, রোগী, শিক্ষার্থী, এমনকি বিশ্ব ইজতেমামুখী মুসল্লিদের জন্যও এই সড়কপথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

এ সময় স্থায়ী সেতু না থাকায় প্রধান সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়। তাদের সমস্যার মধ্যে রয়েছে-

১. জরুরি রোগীদের ঢাকায় নেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।
২. বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের জন্য ফ্লাইওভার ওঠানামা ঝুঁকিপূর্ণ।
৩. ছিনতাই ও অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে।
৪. টঙ্গী বাজার থেকে আব্দুল্লাহপুরের রাস্তা অচল— পরিবহন আসতে চায় না।
৫. পরিবহনের খরচ বাড়ছে, প্রভাব পড়ছে বাজারে।
৬. শিক্ষার্থীদের সময় ও খরচ বাড়ছে; ক্লাস-পরীক্ষায় দেরি হচ্ছে।
৭. যাতায়াত ভাড়া আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
৮. বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা দুর্ভোগে পড়ছেন।
৯. বেইলি ব্রিজের সমস্যায় নিয়মিত যানজট লেগে আছে।
১০. দুষ্কৃতকারীদের তৎপরতা বেড়েছে, দোকানপাটে ক্রেতা কমছে।
ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের দাবি, অবিলম্বে তুরাগ নদীর ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণ করে দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগ দূর করা হোক।

ইএআর/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।