হাদির ব্রেনের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে: চিকিৎসক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ওসমান হাদির অপারেশন টিমের সদস্য চিকিৎসক আব্দুল আহাদ/ছবি-জাগো নিউজ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক, যে অবস্থায় ছিল তা অপরিবর্তিত। সকালে ফের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। সিটি স্ক্যানে দেখেছি, তার ব্রেনের কন্ডিশন অপরিবর্তিত। গুলিতে তার ব্রেনে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে আছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরো সার্জিক্যাল বিভাগে ওসমান হাদির অপারেশন টিমের সদস্য ও এনসিপির ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব চিকিৎসক আব্দুল আহাদ।

তিনি বলেন, ব্রেনের পাশাপাশি আগে হাদির কিডনি ফাংশনাল ছিল না। অপারেশনের পর সেটার কার্যক্ষমতা বেড়েছে। ইউরিন আউটপুট কন্টিনিউ আছে। অর্থাৎ কিডনি তার নরমালভাবে কাজ করছে। তবে লাইফ সাপোর্টে তার ফুসফুসের যে কন্ডিশন ছিল সেটা অপরিবর্তিত। তার যে অন্য অর্গানগুলো আছে, সেগুলো লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। দেশের সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। 

ওসমান হাদিকে যে ব্যক্তি গুলি করেছে সে খুবই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল জানিয়ে চিকিৎসক আব্দুল আহাদ বলেন, আমি সার্জন হিসেবে বলতে চাই, এক্সপার্ট হিসেবে হ্যাট স্যুট করা হয়েছে। তার ডানপাশ দিয়ে গুলি করা হয়েছে। যেখানে ব্রেনের হৃদযন্ত্র এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে তার সামনে দিয়ে তা ভেদ করে বিপরীত দিক দিয়ে বের হয়েছে। অভিজ্ঞ ছাড়া এভাবে কেউ গুলি করতে পারে না।

তিনি বলেন, এখন দেশে যে অবস্থা আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা যারা অ্যাকটিভিস্ট আছি, জুলাইয়ের পক্ষে যারা শক্তি আছি, আমাদের সবার জীবন হুমকির মুখে। দেশের যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামনে নির্বাচন আছে তা বানচাল করার জন্য বিভিন্ন পক্ষ এখানে জড়িত। আমি দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করেন।

জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিগুলো কন্টিনিউয়াস ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আব্দুল আহাদ বলেন, আমাদের অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নম্বর পাবলিক করে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপে আমাদের নম্বর দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিবার, আমাদের বাসার লোকেশনগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে। আমাদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর আসলে শেষ কোথায়। 

এমএমএ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।