মামলা কমিয়ে কৃষক হয়রানি বন্ধের নির্দেশ
ঢালাওভাবে কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা না করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে চলমান মামলাগুলো কৃষদের সঙ্গে আলোচনা করে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। মূলত কৃষকরা যাতে হয়রানির স্বীকার না হন সেটি নিশ্চিত করতেই বিশেষ এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালি ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক থেকে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সূর চৌধুরী।
জানা গেছে, দেশে প্রায় ৪৫ হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করেছে রাষ্ট্র খাতের ব্যাংকগুলো। এসব মামলায় প্রায় ১০ হাজার সাধারণ কৃষকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এতে করে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এসকে সূর বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের বলা হয়েছে, মামলা কমিয়ে কৃষক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমরা কৃষকদের কেনোভাবেই হয়রানি হতে দেবো না। একই সঙ্গে নতুন মামলা যাতে না হয় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। কৃষদের সঙ্গে আলাপ করে ঋণ আদায়, পুনঃতফসিলিকরণ সুবিধা দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢালাওভাবে কৃষক যারা ঋণ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিপক্ষে আমরা। তবে শাখা ব্যবস্থাপকরা চাকরি বাচাতে এটি করেন। আইনে এমন নির্দেশনাও রয়েছে। তবে আমরা বলেছি, বিকল্প কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করতে।
ব্যাংকগুলোকে পরিপালনের জন্য একটি নির্দেশনাও জারি করা হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে সুর বলেন, সারা দেশে প্রায় ৪৫ হাজার মামলা রয়েছে। তবে ব্যাংকগুলো বলছে, ৩২ থেকে ৩৫ হাজার। আর এসব মামলায় প্রায় ১০ হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এটি এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। কৃষকরা যাতে ঋণ পান আবার সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার পরিবর্তন আনা হবে কিনা জানতে চাইলে এসকে সুর বলেন, সেটি আইন প্রণেতাদের বিষয়। তবে খুব ভেবে-চিন্তে করতে হবে। আইনের পরিবর্তন আনলেও যাতে আবার ঋণ পরিশোধে কৃষকরা উৎসাহিত না হন সেটি দেখতে হবে।
এসএ/বিএ/আরআইপি
