কামারুজ্জামানের সঙ্গে পরিবারের ১৫ সদস্যের সাক্ষাৎ
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসেছেন তার স্ত্রী ও কন্যাসহ পরিবারের ১৫ সদস্য। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্টো চ-১৩-২৫৮৬)-এ ১১ জন আসেন, এর আগে আরো ৪জন কারাগারে আসেন।
সাক্ষাৎ করতে আসা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- কামারুজ্জামানের স্ত্রী নুরুন নাহার, ছেলে- হাসান ইকবাল ওয়ামীও হাসান ইমাম ওয়াফি, মেয়ে- আছিয়া নূর, ভাগ্নি- রোকসানা এবং কামারুজ্জামানের শালা ও মামাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
ফাঁসির আসামি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে কারাগারে ডাকেন কারা কর্তৃপক্ষ।
দণ্ড কার্যকরের আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান। এ জন্য আলোচনা করতে তার আইনজীবীরা বিকাল ৪টায় সাক্ষাৎ করতে চাইলেও কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাননি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকেই কামারুজ্জামানকে কারাগারে রাখা হয়েছে। ওই রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এর বিরুদ্ধে কামারুজ্জামান রিভিউ আবেদন করলে সোমবার তাও খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
এদিকে লাশ বহনের জন্য একটি কফিন নেওয়া হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে কফিনটি কারাগারের ভেতর নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। একটি নম্বরবিহীন সাদা অ্যাম্বুলেন্সে করে কফিনটি কারাগারে নেওয়া হয়।
সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন দ্রুত রায় কার্যকর করা হবে।
জেইউ/একে/আরএস