প্রশিকার ৩৭০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ


প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

বেসরকারি সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩৭০ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির উপ-প্রধান নির্বাহী মো. সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহম্মদের দায়িত্বপালনকালের হিসেব অনুযায়ী সংস্থার এ ৩৭০ কোটি টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জবরদখলের মাধ্যমে প্রাশিকাকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে গেছেন।’

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর রুনি মিলনায়তনের শনিবার অবৈধ ‘কাজী ফারুক আহম্মদের হাত থেকে প্রশিকা রক্ষা’ দাবিতে সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কাজী ফারুক আহম্মদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক মোড়লিপানা ও উচ্চাভিলাসের কারণে প্রশিকা ধ্বংসের দুয়ারে পৌঁছে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাজী ফারুকের জবরদখল ও স্বেচ্চাচারিতার কারণে প্রশিকায় কর্মরত ৩ হাজার কর্মী মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছেন। প্রশিকার ৯ লাখ ৪০ হাজার গরীব মানুষের সঞ্চয়ের ১৯০ কোটি জমা রয়েছে। অথচ জরুরী দরকারে এ সব গরীব মানুষ তাদের সঞ্চয়ের টাকা তুলতে পাচ্ছেন না।’

মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চ আদালতের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ অগ্রাহ্য করে কাজী ফারুক আহম্মদ প্রশিকার প্রধান কার্যালয় দাঙ্গাবাজদের দিয়ে দখল করে রেখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রশিকার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৭৮৩ কোটি টাকা। কর্মী কল্যাণ তহবিলের ১৮০ কোটি টাকাসহ সংস্থার ৩৭০ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। যা সবই ঢুকেছে কাজী ফারুক আহম্মদের পকেটে।’ এর প্রতিবাদ ও ফারুকের হাত থেকে সংস্থাকে বাঁচাতে প্রশিকার ৩ হাজার কর্মী গত ২৯ অক্টোবর ২০১৪ থেকে আন্দোলন করে আসছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার পরিচালক মো. সিরাজুল হক, উপ-পরিচালক মো. ইনছার আলী পাশা, উপ-পরিচালক মো. সোলায়মান, কামরুল হাসান প্রমুখ।

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।