পাচার রোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সাগর পথে মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাগর পথে মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকার সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সমস্ত জলযানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে। উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান বলেন, এসব কাজে উপকূলীয় এলাকাগুলোর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এখন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখছেন।
তিনি আরো বলেন, সাগর পথে মানব পাচারের কাজে এসব জেলে নৌকাগুলো জড়িত থাকে। নিবন্ধন এবং পরিচয়পত্র দেয়া গেলে এসব কাজে জড়িতদের সনাক্ত করা সহজতর হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাচার রোধে উপকূল রক্ষা বাহিনী কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের এক বৈঠকে কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে ৪৬৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাহিনীর জন্য নতুন চারটি জলযান ছাড়াও নজরদারির জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এসকেডি/আরএস/আরআইপি