বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার ৯টি ক্ষেত্র চিহ্নিত


প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ২৩ মে ২০১৫

দিল্লী ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ওপর দু’দিনব্যাপী ডায়ালগের সমাপ্তি হয়েছে। শনিবার এ ডায়ালগের সমাপ্তি হয়। ঘোষণায় দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার ৯টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে।

ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী আন্তর্জাতিক বর্ডার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ওয়াটার সিকিউরিটি, জ্বালানি নিরাপত্তা, জল, সড়ক, রেলপথ, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ইত্যাদি।

বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই ষষ্ঠ ডায়ালগের আয়োজন করে।
এর আগে ভেলিডিকটরী সেশনে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দেগল। সভাপতিত্ব করেন বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক শ্রী রাম মাধব।

অজিত দেগল আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশকে কেউ অস্থিতিশীল করতে চাইলে আমরা তা হতে দিতে পারি না।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্ধমানে কিছু ক্রিমিনাল বাংলাদেশকে অস্থিশীল করতে চেয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী নিজে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধান সম্পদ যুবশক্তি। যৌথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই যুবশক্তিকে দক্ষ শক্তিতে পরিণত করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগনোর আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদন বিল সর্বসম্মতভাবে পাস করে। এতে ৬৮ বছরের সমস্যার সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অন্যান্য ইস্যুর সমাধান হবে এটাই আমাদের বিশ্বাস।

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্যে বিশেষ ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উৎপাদনের জন্যে উত্তম ক্ষেত্র। ৫৪টি নদী, রেল, সড়ক তথা যোগাযোগ খাতের যৌথ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।

পররাষ্টমন্ত্রী ভারত-বাংলদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমরা ভারত থেকে শিল্পের জন্যে প্রচুর কাঁচামাল আমদানি করি। তা দিয়ে ২৫ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করি।

দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়া এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

এছাড়া শনিবারের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- রাষ্টদূত মোহাম্মদ জমির, ড. কাজি খলিকুজ্জামান, পংকজ দেবনাথ, প্রফেসর আইনুন নিশাত, আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।

আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।