ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪১ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৭

নির্বাচনের আগেই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ ১৭ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠন। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এই মোর্চার কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বা উচ্চভিলাষ নেই। ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সাংবিধানিক বৈষম্য বিলোপ, সমঅধিকার ও সমমর্যদা নিশ্চিতকরণ, নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, সংগ্রাম পরিচালনা এ মোর্চার লক্ষ্য।

সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১) কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে এমন কাউকে মনোনয়ন দেবে না যারা অতীতে বা বর্তমানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে সংখ্যালঘু স্বার্থবরোধী কোনো প্রকার কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বা আছেন। কোথাও এমন কাউকে প্রার্থী করলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সেখানে ভোট দেয়া থেকে বিরত বা ভোট বর্জন করবে।

২) যে রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাণের দাবি ঐতিহাসিক ৭ দফার পক্ষে নির্বাচনী অঙ্গীকার ঘোষণা করবে এবং সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার নিশ্চিতকরণের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবে তাদের প্রতি এই মোর্চার পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

৩) আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সংসদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহকে দায়িত্ব নিতে হবে।

৪) নির্বাচনের পূর্বাপর ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার, মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় সকল উপাসনালয়কে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার, নির্বাচনী সভায় ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান বা কোনোরূপ নিষিদ্ধের পাশাপাশি তা ভঙের দায়ে সরাসরি প্রার্থীতা বাতিলাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

৫) নির্বাচনের পূর্বেই সরকারকে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ভূমি কমিশন গঠন, বর্ণবৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন এবং পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বাস্তবায়নসহ পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

এ সময় বক্তারা উত্থাপিত দাবিসমূহ সরকার, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও জোট এবং জাতির সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জমায়েত এবং প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া ওইদিন সারাদেশে জেলা ও মহানগর সদরে একই দাবিতে জমায়েত শেষে স্ব স্ব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি পেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের সমন্বয়ক রাণা দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এমএমজেড/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।