বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিচার হয় না : যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থা থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (বাংলাদেশে সময় মধ্যরাত) ইউএস কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস ২০১৪-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ কথা বলেন।
ইউএস কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস জাানায়, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মের কোনো বিচার হয় না । যদিও প্রতিদিনই এ নিয়ে নানা দাবি উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। বিশেষ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে কিংবা কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলে, বলতে গেলে তিনি কোনো শাস্তির মুখোমুখিই হন না। এটি বাংলাদেশে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ভয়াবহতম সমস্যা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সংঘাত মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আরেকটি জটিল সমস্যা। কিছু উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) সব সময়ই আইনগত ও সরকারি নানা বিধিনিষেধের মধ্যে থাকে। নারীরা হরহামেশা বৈষম্যের শিকার হন। অল্প বয়সেই জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয় তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও জোর করে তুলে নিয়ে গুম বাংলাদেশে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা। এর পরই রয়েছে অনলাইন ও গণমাধ্যমে মত প্রকাশে নানা প্রতিবন্ধকতা, খুবই নিম্নমানের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার না থাকা।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্য বড় সমস্যাগুলো হল- আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন নির্যাতন ও ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি দফতরগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি, নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটকে রাখা, দুর্বল বিচারিক ক্ষমতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাহীনতা এবং দীর্ঘ সময় বিভিন্নজনকে আটকে রাখা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বহু শিশুকেই পড়ালেখার বদলে লাগতে হয় কাজে। আর তারা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকে। অর্থনৈতিক দীনতাই তাদের এ কাজ করতে বাধ্য করে। এমনকি একই কারণে অনেক শিশু পাচারেরও শিকার হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বৈষম্যের শিকার হন।
যুক্তরাষ্ট্রের মতে, দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংঘাতও উদ্বেগের। বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা প্রায়ই নানাভাবে হামলার শিকার হন। এমনকি এর সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক, কখনও সরকারদলীয় নেতার নামও উঠে আসে। প্রায়ই যৌন নির্যাতনের শিকার হন নারীরা। সংখ্যালঘু নারীরাও।
এসকেডি/এআরএস/এমএস