তোরাব আলী মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১১ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৮

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পাওয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীয় অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) কারারক্ষী হানিফ মিয়া তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে জানান, গত ৩ জানুয়ারি তোরাব আলীকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ (শুক্রবার) ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা যান।

তোরাব আলী পিলখানা হত্যাযজ্ঞের মামলা থেকে খালাস পেলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় তিনি মুক্তি পাননি। গত ৩ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারাগার থেকেই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হানিফ মিয়া আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তোরাব আলীর মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ আলোচিত এ মামলার আপিলের রায়ে তাকে খালাস দেন। এর আগে পিলখানার মামলায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি তোরাব আলীকে জজ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদফতরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। ওই হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে তোরাব আলীকে ৩০২ ধারায় সাজা দিয়েছিলেন জজ আদালতের বিচারক।

তোরাব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানতে পারেন। কিন্তু তিনি তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

উল্লেখ্য, একই মামলায় বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুও রাজশাহী কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ৩ মে হৃদরোগে মারা গেছেন।

এআর/আরএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।