প্রিয়ভাষিণীকে গার্ড অব অনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৮

মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, সংগঠন ও সাধারণ জনগণ তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মরদেহে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়া সৈয়দ আশরাফের পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এর পর প্রিয়ভাষিণীর মরদেহে সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জানা গেছে, নাগরিকদের শ্রদ্ধা জানানোর পর আজ (বৃহস্পতিবার) বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পেলে হাসপাতালে কয়েক দফা চিকিৎসা নেন।

প্রিয়ভাষিণী একাত্তরের নির্মম ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।

বাংলাদেশের ভাস্কর্য চর্চায় ব্যতিক্রমী একজন শিল্পী ছিলেন। শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।

এআর/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।