স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বন্ধের দাবিতে ইসির সামনে ২ ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২০

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিলের দাবিতে নির্বাচন ভবনের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ‘হানিফ বাংলাদেশি’ নামে এক ব্যক্তি। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে তিনি এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেন তিনি।

২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের বিধান চালু করে। এরপর থেকে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার হয়ে আসছে।

এ বিষয়ে হানিফ বাংলাদেশি জাগো নিউজকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রচলন দীর্ঘদিন থেকে ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ছিল। ভোটের প্রচলিত নিয়ম হলো, জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দেয়া প্রতীকে নির্বাচন হত। ২০১০ সাল থেকে এই নিয়মকে বাতিল করে নতুন আইন করা হলো যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দলীয় প্রতীকে হবে। এতে আমি মনে করি, গণনেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সার্বজনীন প্রার্থী হওয়ার যে প্রচলন, সেটাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক যোগ্য, নিবেদিত ব্যক্তি আছেন সমাজে, যারা নির্বাচন করতে চান। কিন্তু নির্বাচনের এই আইনের কারণে তারা প্রার্থী হতে পারছেন না।স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহারের ফলে মার্কা বাণিজ্য, লবিং, তদবির, অনৈতিক লেনদেন হয়। যার কারণে যারা জয়লাভ করে তাদের লগ্নি করা অর্থ তোলার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়। তাই দুর্নীতিও সর্বগ্রাসী রূপ নিচ্ছে।’

হানিফ বাংলাদেশির অভিযোগ, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা মনে করেন, তাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। এটা ভোটারদের প্রতি অবমাননাকরও বটে। কারণ, ভোটের আগেই তারা নির্ধারিত হয়ে যায় যে, তারা দলীয় প্রতীক পেয়ে গেছে। এসব কারণে আমি মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা দরকার।’

তার এ কর্মসূচি এখানেই থেমে যাবে না উল্লেখ করে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, ‘এই দাবি আদায়ের জন্য আরও যেখানে যাওয়া দরকার, সেসব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যাব। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও করা আছে। কারণ, এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষও আছে। তাই এটা অনৈতিক আইন, বাতিল করা উচিত।’

পিডি/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।