করোনাভাইরাস : বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম জানালেন রাষ্ট্রদূত
চীনের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এর জের পড়েছে বাংলাদেশেও। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান থেকে জরুরিভাবে ফেরত আনা হয়েছে বাংলাদেশিদের। দেশে আসার অপেক্ষায় অন্য বাংলাদেশিরাও।
এমন পরিস্থিতিতে চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস কী করেছে, তা ভিডিওবার্তা ও ইমেইলের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সফলভাবে লোকাল কো-অর্ডিনেশন শেষ করেছি। যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। ২২টি সেন্টারে লোকাল কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা, ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ করা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া- এসব ছিল চ্যালেঞ্জ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা এই বিষয়ে চীন ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি। এটি একটি যৌথ পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এজেন্সিগুলির সঙ্গে সমন্বয় প্রক্রিয়া।
মাহবুব উজ জামান বলেন, উহান সিটি থেকে ৩১২ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দূতাবাস সফলভাবে কাজ করছে। বাকিদের ফেরানোর প্রক্রিয়া কখন শুরু হতে পারে তা পরিস্থিতির বাস্তবতার ওপর নির্ভর করছে।
বাংলাদেশের নাগরিকদের কল্যাণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই দূতাবাস কাজ করছে বলে জানান তিনি।
হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর এতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনে। এদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক। চীনের বাইরে ফিলিপাইনে একজন ও হংকংয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন। চীনসহ বিশ্বের ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাকি ২৭টি দেশ ও অঞ্চল হলো- অস্ট্রেলিয়ায়, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইতালি, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, নেপাল, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনাম।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশও গত ১ ফেব্রুয়ারি উহান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে ৩১২ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনে। এদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ২৯৭ জন, এক বছরের বেশি বয়সী ১২ জন ও এক বছরের নিচে তিনজন রয়েছেন।
জেপি/এইচএ/জেআইএম