টিসিবির পণ্য কিনছেন মধ্যবিত্তরা
বাজার মূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। করোনার এই সময়ে টিসিবি পণ্যের ক্রেতা মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণি। তারা পণ্য কেনার সময় সামাজিক বা শারীরিক দূরত্বও মানছেন না।
রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট ও খামারবাড়ি এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, টিসিবি ৫০ টাকা কেজি চিনি, ৫০ টাকা কেজি মশুর ডাল, ৮০ টাকা লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩৫ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তরুণ, মধ্যবয়স্ক ও বয়স্করাও পণ্যের জন্য সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের পোশাক থেকে বোঝা যায়, তারা দরিদ্র নয়, মধ্যবিত্ত। খামারবাড়িতে একজনও দরিদ্র শ্রেণির প্রতিনিধি পাওয়া যায়নি। ফার্মগেটে দু-একজন ছাড়া সবাইকে মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধি মনে হয়েছে।
কয়েকদিন আগে ফার্মগেটের আগোরা সুপারশপের সামনের ফুটপাতে চারজন নারীর সঙ্গে কথা হয়। তাদের একজন বাসাবাড়িতে কাজ করতেন এবং বাকি তিনজন কাঁচাবাজারে দোকান করতেন। তারা সরকারি ত্রাণের জন্য কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে ও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন।
টিসিবি থেকে বাজারদরের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনতে বললে তারা জানান, তাদের জমানো অল্প যে কিছু টাকা ছিল সব শেষ। টিসিবি থেকেও স্বল্প মূল্যে পণ্য কেনার মতো সামর্থ্যও তাদের নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই শ্রেণির কিছু নিম্নবিত্ত ছাড়া অধিকাংশ মানুষই করোনা আতঙ্কে গ্রামে চলে গেছেন। এখন রাজধানীতে বসবাসকারীদের মধ্য স্থানীয় এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা অংশ রয়েছে।
অন্যদিকে টিসিবি থেকে যারা পণ্য কিনছিলেন, সারিবদ্ধভাবে পণ্য কেনার জন্য দাঁড়ান তারা। সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব মানেননি। অনেকটাই গাদাগাদি করে তারা পণ্য কিনছেন। ফলে করোনায় সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়।
পিডি/বিএ/এমএস