আনসারে করোনা আক্রান্ত ৯০৭, সুস্থ ৪৮৮
করোনার সংকটময় মুহূর্তে বিভিন্ন হাসপাতালে এবং সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
১৮ জুলাই পর্যন্ত এ বাহিনীতে ৯শ’ ছাড়িয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৭ জনে। সারাদেশের তুলনায় রাজধানী ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবিলার জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
করোনাযুদ্ধে সম্মুখভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন প্রতিদিন বাড়ছে, তেমনি আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সদস্য সুস্থ হয়ে, কর্মস্থলে যোগদান করে সেবামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
সর্বশেষ জানানো ২৪ ঘণ্টায় (১৮ জুলাই) নতুন করে এ বাহিনীতে আক্রান্ত হন ৪ জন। এ বাহিনীতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৯০৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন কর্মকর্তা ১৬ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ৩৩৫, মহিলা আনসার ৩, সাধারণ আনসার ৫১২, কর্মচারী ৬ জন, ভিডিপি সদস্য ১৫, বিশেষ আনসার ৪, উপজেলা প্রশিক্ষক ৭, উপজেলা প্রশিক্ষিকা ২, হিল আনসার ৪ এবং উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার ৩ জন।
এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩০ জন। কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২২৫ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮৯ জন সদস্য।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ বাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ ৫ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৪ কর্মকর্তাসহ ৪৮৮ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন, সুস্থতার হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন কর্মকর্তা ৪ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ১৩০, সাধারণ আনসার ৩৩৫, কর্মচারী ২, নারী আনসার ২, ভিডিপি সদস্য ৫, উপজেলা আনসার কমান্ডার ১, বিশেষ আনসার ৪, হিল আনসার ৪ এবং উপজেলা প্রশিক্ষক ১ জন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত এ সমস্যার উত্তরণ না হয় ততদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাবেন এ বাহিনীর মাঠপর্যায়ের সদস্যরা।
পাশাপাশি করোনায় সব সদস্যকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসামগ্রীসহ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জেইউ/জেডএ/পিআর