বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এত হতাশার কথা বলে কেন, প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২০
ফাইল ছবি

‘করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও) এত হতাশার কথা বলে কেন’ বলে প্রশ্ন রেখেছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।

বুধবার (১২ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের শেষ দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এত হতাশার কথা বলে কেন? আপনারা একটু বইলেন।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন যা-ই আসুক, আমাদের সবচেয়ে বড় প্রটেকশন (সুরক্ষা) হচ্ছে মাস্ক। এ প্রেক্ষাপটে মাস্ক না পরলে সব দেশেই জরিমানা করে, আমাদের দেশেও ২০০ টাকা হলেও জরিমানা করেন না। যারা মাস্ক ব্যবহার করবেন না, তাদের বেলায় ১০০-২০০ টাকা হারে জরিমানা করার প্রস্তাব করেন।’ প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে আরও কম মূল্যে সাধারণ মানুষের জন্য সরকার থেকে মাস্ক সরবরাহের প্রস্তাব করেন তিনি।

তিনি পুলিশের মাধ্যমে এ শাস্তি দেয়ার কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে উত্থাপন করতেও বলেন কৃষিমন্ত্রী।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আইনগতভাবে পুলিশ জরিমানা করতে পারে কি-না, বিষয়টি আমার জানা নেই।’

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারি দূর না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে উদাসীনতা সৃষ্টি হওয়ায় কঠোর হচ্ছে সরকার। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ফের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত সোমবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জেনারেল আলোচনা হয়েছে যে, মানুষকে অন্তত সচেতন থাকতে হবে। এর মধ্যে দেখা গেছে যে, অনেক মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা একটু কমে গেছে। সেটা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। ওয়ান অব দ্য প্রিভেন্টিং আসপেক্ট অব করোনা হ্যান্ডেলিং হলো তার একটা প্রভেন্টিভ অ্যাকশনে থাকা নিজেদেরকে....।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো ক্যাম্পেইনে নিয়ে আসা এবং যথাসম্ভব যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে যদি মোবাইল কোর্ট করা যায়। এগুলো নিয়ে কালকেও সচিব কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে ডিরেক্টিভ দিয়ে দিয়েছি এবং মাঠ প্রশাসনকেও বলে দিয়েছি যে, ইনফোর্সমেন্টেও যেতে হবে।’

এমইউএইচ/এফআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।