বিমানের টিকিট নিয়ে জটিলতা নিরসনের তাগিদ ক্যাবের
লকডাউন পরবর্তী সময়ে বিমানের টিকেট নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের তাগিদ দিয়ে প্রয়োজনে বিশেষ ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সোমবার (১৭ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনায় লকডাউন খোলার পর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের কর্মস্থল ও ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হলে পুনরায় ফেরত যেতে বিমানের টিকেট নিয়ে কৃত্রিম সংকট শুরু করে একটি মহল। বাংলাদেশ থেকে বিমানের বিভিন্ন রুটে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বিমান চলাচল শুরু হয়। বর্ধিত দামে এবং রির্টান টিকেট কিনেও টিকেট পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা।
ক্যাব নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বিমানের টিকেট বিক্রয় নিয়ে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ থাকার পরও এ সমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়নি। যার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রবাসীদের।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাঝামাঝি সময়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে সাড়ে চার লাখের মতো প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ফেরত আসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল। দেশে আসা বেশিরভাগ প্রবাসীর ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের ফেরত যেতে হচ্ছে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
এনএফ/জেআইএম