বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জীবিকা নিশ্চিতে মাস্ক তৈরির উদ্যোগ
মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জীবিকার সংস্থান এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখতে ‘আমরা শিখি, আমরা পারি’ শীর্ষক প্রকল্পের যাত্রা শুরু করেছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন এবং পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার।
করোনাকালে চারপাশের বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার প্রেরনা ফাউন্ডেশন ও পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন প্রেরণা ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির পরিচালক মুবিনা আসাফ এবং পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি।
‘আমরা শিখি, আমরা পারি’ শিরোনামের এই প্রকল্পের আওতায় পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাস্ক তৈরির দক্ষতা অর্জন করেন। সফল প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে বর্তমানে এই বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা মাস্ক উৎপাদনের কাজে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে একদিকে তাদের জীবিকার সংস্থান হচ্ছে এবং পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখছে।
এই প্রকল্পের আওতায় দুই ধরনের মাস্ক উৎপাদিত হচ্ছে; সার্জিক্যাল ও ফ্যাব্রিক মাস্ক। উভয় প্রকার মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রণীত পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিধিমালার পূর্ণ অনুসরণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর (ডিজিডিএ) নির্ধারিত প্রতিটি শর্ত পূরণ করেই ফ্যাব্রিক মাস্কগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। উৎপাদিত প্রতিটি ফ্র্যাব্রিক মাস্ক সরকার নির্ধারিত গুণগত মান প্রত্যয়ণকারী প্রতিষ্ঠান ডাইসিন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড দ্বারা পরীক্ষিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়েছে।
ফ্যাব্রিক মাস্কগুলো শিগগিরই বাজারে বিক্রয়ের জন্য সরবরাহ করা হবে। এরই সফল ধারাবাহিকতায় সার্জিক্যাল মাস্কগুলো বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়ের জন্য শিগগিরই সরবরাহ করা হবে। প্রতিটি মাস্ক বিক্রয় থেকে উপার্জিত অর্থ উৎপাদনকারী বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারের জীবিকার কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
এআর/এমএসএইচ/এমএস