বলারও কেউ নেই, মানারও আগ্রহ নেই
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বয়ংক্রিয় মেশিনে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করছে অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে এসবের কোনো কিছুর বালাই নেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।
সদরঘাটের প্রবেশদ্বার ও বেশ কয়েকটি লঞ্চ ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার আগ্রহ নেই। মাস্ক ছাড়াই টার্মিনালের গেট দিয়ে সদরঘাটে প্রবেশ করছেন বেশিরভাগ যাত্রী। যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা মাপার কোনো ব্যবস্থা সেখানে নেই।
মাস্ক না পরার কারণ হিসেবে নানা অজুহাত দিচ্ছেন যাত্রীরা। এমনকি মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে বিরক্তিও প্রকাশ করেন অনেকে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের সোনারতরী লঞ্চের দিকে ছুটছিলেন কয়েকজন যাত্রী। এ সময় বেশিরভাগ যাত্রীর মুখেই মাস্ক ছিল না।
মাস্ক ছাড়াই সদরঘাটে প্রবেশ করছেন বেশিরভাগ যাত্রী
মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে আমানত নামে এক যাত্রী বলেন, ‘সব সময়ই মাস্ক পরি। আজ আনতে ভুলে গেছি। এখন বাইরে গিয়ে একটা কিনে নেব।’
চাঁদপুরের লালকুঠি টার্মিনালে সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রেতা শরীফ জানান, আগের তুলনায় মাস্কের দাম ও বিক্রি উভয়ই বেড়েছে। আগে তিনটা মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি করতাম। তখন প্রতি বক্স ৬০ থেকে ৭০ টাকা ছিল। এখন সেই বক্সের দাম বেড়ে ২০০ টাকার উপরে চলে গেছে। ঘাটে কোনো কড়াকড়ি নেই। এ কারণে মানুষের মুখে মাস্ক নেই।’
লঞ্চ মালিকরা বলছেন, লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। এরই মধ্যে কিছু লঞ্চে মাস্ক ছাড়া যাত্রীদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। শিগগিরই জীবাণুনাশক টানেল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারসহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে যাবেন তারা।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই লঞ্চে উঠছেন যাত্রীরা
এদিকে প্লাটুন-২ এ শরীয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালীর লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যাত্রী উঠছেন। যাত্রীদের লঞ্চে উঠানো খালাসিদের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। কোনো লঞ্চে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার কিংবা শরীরের তাপমাপার ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দর কর্মকর্তা যুগ্ম-পরিচালক গুলজার আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বানাতে দিয়েছি। যাত্রীদের মাস্ক পরে টার্মিনালে ঢুকতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে টিকিট দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্ল্যাকার্ডগুলো তৈরি হলে আমরা কাজ শুরু করবো। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করে ফেলব।
এসএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ