স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ কারওয়ান বাজারে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ০১ এপ্রিল ২০২১

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। কাকডাকা ভোর থেকে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে বাজার জমজমাট থাকলেও মুখে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি এখানে ভীষণভাবে উপেক্ষিত।

রাজধানীসহ সারাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু অব্যাহতভাবে বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে দেশের ৩১ জেলায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমাবনতিশীল করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু পরিস্থিতিতে ভীষণ উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

শতভাগ মানুষকে মুখে মাস্ক পরানো নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না বলে তারা মন্তব্য করলেও কারওয়ান বাজারে শতকরা ৯৫ ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেই মাস্ক নেই। যাদের মুখে মাস্ক রয়েছে, তারাই এখানে সংখ্যালঘু।

jagonews24

স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে ক্রেতা ও বিক্রেতারা যেভাবে ঘোরাফেরা করছেন, তাতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হয়ে উঠেছে কারওয়ানবাজার।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সরেজমিন কারওয়ান বাজারে ঘুরে স্বাস্থ্যবিধির চরম লঙ্ঘনের এ দৃশ্য দেখা গেছে।

পাইকারি ও খুচরা উভয় প্রকারের বাজারের জন্য রাজধানীতে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় যে কয়েকটি বাজার রয়েছে, তার মধ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজার অন্যতম। অন্যান্য বাজারের চাইতে অপেক্ষাকৃত কম দামে মাছ, মাংস, ফল ও শাক-সবজি পাওয়া যায়। এ কারণে কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কারওয়ান বাজারে হাজারো মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।

তবে এমন জনসমাগমস্থলে করোনা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।

jagonews24

বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় কারওয়ানবাজার মাছের আড়তে ঘুরে দেখা গেছে, হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে হরেক প্রকারের মাছের জমাজমাট বেচাকেনা চলছে। মাছ বিক্রেতারা উচ্চস্বরে ডেকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। ক্রেতারাও ঘুরেফিরে পছন্দসই মাছ কিনছেন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে স্বাভাবিক সময়ের মতোই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অধিকাংশকেই মাস্কবিহীন ঘুরতে দেখা যায়। খুবই স্বল্প সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনির নীচেই নামিয়ে রাখতে দেখা যায়।

কারওয়ান বাজার আড়তের মাছ বিক্রেতা আবুল হোসেন মাছ বিক্রি করছিলেন তবে তার মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। মাস্কের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করোনা বড়লোকগো (ধনীদের) রোগ। আমাগো মতো গরীবরে ধরে না। আল্লাহই আমাগো বাঁচায় রাখবো।’

শাক-সবজি ও ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, করোনার জন্য যারা অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, সেই অধিক বয়স্ক মানুষরাই নির্বিঘ্নে মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। টমেটা বিক্রেতা পঞ্চাশোর্ধ্ব খায়ের মিয়ার কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, গরমে মাস্ক পরলে ঘামে ভিজে যায়, অস্বস্তি লাগে। তাই মাস্ক পরেননি।

এমইউ/এমএইচআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।