৪ মাস পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনশূন্য শাহজালাল
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩৩টি ফ্লাইটে চার হাজার ৩৬৪ জন যাত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের মধ্যে কাউকেই বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি। প্রায় চার মাস পর প্রথমবারের মতো বিমানবন্দর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে একজনকেও না পাঠানোর ঘটনা ঘটলো। ২৪ ঘণ্টায় আগত যাত্রীদের সবাইকে নিয়মানুসারে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
বিমানবন্দরে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা.শাহরিয়ার সাজ্জাদ রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে জাগো নিউজকে বলেন, ‘সম্প্রতি দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৩ এপ্রিল) থেকে যুক্তরাজ্য ব্যতীত ইউরোপের ৩৮টি দেশ থেকে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ কারণেই ইউরোপ থেকে আগত যাত্রী সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। সর্বশেষ ২ এপ্রিল যুক্তরাজ্য থেকে ১১ জনসহ মোট ১৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শুরু হয়। গতকাল ৩ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত যুক্তরাজ্যফেরত মোট ২৫ হাজার ৬৮৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। প্রথমদিকে দুই সপ্তাহ ও পরবর্তীতে এক সপ্তাহ এবং সম্প্রতি আবার দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। প্রথমদিকে সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হলেও পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের সামাজিক অবস্থানসহ সার্বিক বিবেচনায় তাদেরকে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে বাধ্যতমূলক কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের শুরু থেকে গতকাল ৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর দিয়ে বাস ও ট্রেনযোগে বিদেশ থেকে আগত সর্বমোট ২০ লাখ ২০ হাজার ৭৫৫ জনের হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়। এর মধ্যে শাহজালালসহ তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৭ জন, স্থলবন্দরে চার লাখ ৯১ হাজার ৩২৪ জন, সমুদ্রবন্দরে ৭৬ হাজার ২৫ জন এবং রেলস্টেশনে সাত হাজার ২৯ জনের হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়।
এমইউ/ইএ/এমএস