আজও মৃত্যু ও শনাক্তের শীর্ষে খুলনা বিভাগ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশের আট বিভাগে রেকর্ড সংখ্যক ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও নারী ৪৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৭২ জন।
এদিকে দেশের আট বিভাগে মৃত্যু ও শনাক্তের শীর্ষে আজও খুলনা বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা আট বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক।
এছাড়া খুলনা বিভাগে ২ হাজার ৯০৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২০২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
রোববার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫৫৪টি ল্যাবরেটরিতে ২৪ হাজার ৬২৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৪ হাজার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়ে ৫ হাজার ২৬৮ জন। একই সময়ে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ জন।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১১ হাজার ৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৬৪৮জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৬০টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২২ শতাংশ।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ৬১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৮৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪ হাজার ৫৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৬২ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগে ৪৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫০ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ৬০৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১০৯ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম ২২ জন, রাজশাহী ২২ জন, খুলনায় ৩২ জন, বরিশাল দুইজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে ৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/জেডএইচ/এমএস